
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে হাইকোর্টের নির্দেশে চলমান পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের বাগিচাহাট এলাকায় ৬ষ্ঠ বারের মতো অবৈধ ১টি ইটভাটা ধ্বংস করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ১৮ মার্চ জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। অভিযানে উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রেল ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকার মেসার্স হাজী মোনাফ ব্রিকস ম্যানুঃ (এসবিএল) ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
স্কেভেটর ও ফায়ার সার্ভিস এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শেখ মোজাহীদ এর নির্দেশে ইটভাটার কাঁচা ইট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি দিয়ে ধ্বংস করে। ইট পোড়াবার জন্য সাঁজিয়ে রাখা পুরো ভাটার চিমনী ও কিলন স্কেভেটর দিয়ে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানে এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের গবেষণাগার সহকারী মো. মাহমুদুল হাসানসহ পরিবেশ অধিদপ্তর, র্যাব-৭, থানা পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শেখ মোজাহীদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চন্দনাইশে মোট ৩২ টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে শুধু ৫টির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে। বাকি ২৭টিতে ছাড়পত্র নেই। অভিযানে অবৈধ ১টি ইটভাটা ধ্বংস করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো ইটভাটা ভেঙ্গে দেয়া হবে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বন বিভাগের ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।