
সৈকত দাশ ইমন (চন্দনাইশ) চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল গ্রামে প্রভাবশালী দখলদাররা রাতের আঁধারে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের জায়গা দখল করে নিয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় দখলদাররা ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে বিভিন্ন ধরনের গাছ কেটে নিয়ে যায়।
জানা যায়,চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা দিয়াকুল গ্রামের মদন দাশ দিয়াকুল মৌজার ১৬৭ নং খতিয়ানের আর এস ৪৩৭৬ দাগের ২৬ শতক জায়গা,১ নং খতিয়ানের বি এস ৪৪৯৪ দাগের ২৬ শতক জায়গা এবং ১৭৫ নং খতিয়ানের আর এস ৪৩৭৭ নং দাগের ১২ শতক জায়গা,বি এস ১ নং খতিয়ানের ৪৪৮২ নং দাগের ১২ শতক জায়গা পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়।
এই জায়গায় গুলি মদন দাশের পিতা অশ্বিনী দাশ থেকে শুরু করে অশ্বিনী দাশের পিতার পিতারাও প্রায় কয়েক শত বছর ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন।
মদন দাশ ১৯৯৮ সালে যখন দোহাজারী ভূমি অফিসে খাজনা দিতে গেলে জানতে পারে তাদের জায়গা টি সরকার খাস করে এবং সেই জায়গা টি একশনা বন্দোবস্তি দিয়েছে। তখন মদন দাশ ভূমি অফিসের কর্মকতাদের বলে আমার পৈত্রিক জায়গা আমার দখলে আমি চাষাবাদ করি সেই জায়গা কিভাবে সরকার হাঁস করলো বন্দোবস্তি দিল।
তখন ভূমি অফিসের কর্মকতারা মদন দাশকে বন্দোবস্তি বাতিল ও খাস বাতিল করে পৈত্রিক জায়গা ফিরে পেতে একটি মামলা করতে বলেন। অশ্বিনী দাশ গং চন্দনাইশ উপজেলা ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিজ্ঞ চন্দনাইশ সহকারী জজ আদালতে নিন্ম ১ নং তপশীলোক্ত সম্পত্তি সংক্রান্তে অপর ১৩৯/১৯৯৯ইং,২নং তপশীলোক্ত মোকদ্দমা ভূমি সম্পত্তি সংক্রান্তে অপর ১৪১/২০০২ইং যথাক্রমে একতফা সূত্রে ডিক্রি প্রাপ্ত হন এবং মোকদ্দমা আনায়ন করিয়া মোকদ্দমাদ্বয়ে যথাক্রমে দোতর্ফা ও একতর্ফা সূত্রে ডিক্রি লাভ করে ২০১৫ সালে মামলা টির আদেশ দিয়ে মামকাটি খারিজ করে দে। এর পর থেকে উক্ত জায়গায় আমরা চাষাবাদ করে আসছি সরকারকে নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছি। গত ২২ জুন গভীর রাতে একই গ্রামের আজু মিয়া ছেলে আবদুল রশিদ,আবদুল রশিদের স্ত্রী শাহানা আকতার,মৃত আনু মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন,আবদুল মোনাফের ছেলে মোঃআমির সহ ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার জায়গাটি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ন। কেন জায়গাটি তে কাটা তারের গিরা দিচ্ছি এ বিষয়ে জানতে চাইলে মদন দাশ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জীবননাশের হুমকি দেন দখলদাররা।
মদন দাশ বলেন, ‘আমার বাবা থেকে শুরু করে আমার বাবার বাবারো জায়গাটি ভোগদখল করে আসছেন। বাবার মৃত্যুর পর জমিটি আমরা ভোগ দখল করে আসছিলাম। হঠাৎ করে তারা রাতের আঁধারে ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের জায়গাটি তে কাঁটা তার দিয়ে ঘিরে ফেলে এখনো জায়গাটি আমাদের ভোগ দখলে রয়েছে।
এ বিষয়ে আবদুল রশিদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেশব চক্রবর্ত্তী বলেন, মদন দাশ তার জায়গা দখলের বিষয়ে একটা অভিযোগ করেছে।অভিযোগ পাওয়ার সাথে আমি আমার এ এস আই জাকেরকে পাঠিয়েছি তদন্ত করে খুব দ্রুত ব্যবস্তা নেওয়া হবে।